নিজের চেনা ভিটে-মাটি ছেড়ে একটা অসুস্থ বাচ্চা কে সাথে নিয়ে অসহায় মা- বাবা র হাসপাতালে দিনের পর দিন কাটানো কতটা অসুবিধের সেটা বোধহয় ভাষায় বর্ণনা করা সম্ভব নয়। রাত এর পর রাত, ৪-বছর এর সুদীপ ব্রেন টিউমার এর অসয্য যন্ত্রনা তে কাতরাতে থাকে। সুদীপ এর মা, আরাধনা পাল, তার ছোট্ট ছেলে কে কোলে নিয়ে, গায়ে মাথায় হাত বুলিয়ে, ঘুম পাড়ানি গান গেয়ে চেষ্টা করেন তাকে ঘুম পাড়ানোর - কিন্তু তার সব চেষ্টাই বৃথা হয়ে যায়। কোনো কিছুই কমাতে পারে না সুদীপ এর কষ্ট।

সুদীপের ঘাড়ের একটা ব্যাথাই এই কঠিন ব্যাধির সূত্রপাত। সুনীল আর আরাধনা কলকাতা থেকে চেন্নাই আসেন শুধুমাত্র তাদের সন্তান এর চিকিৎসার জন্য। সেখানেই তারা জানতে পারেন যে তাদের ছেলের প্লিওমরফিক স্যান্থো অ্যাস্ট্রো সিটোমা নামক একটি ভয়াবহ ব্রেন টিউমার আছে। সত্বর চিকিৎসা ছাড়া সুদীপকে বাঁচানো কোনমতে সম্ভব নয়।



আপনার সাহায্য বাঁচাতে পারে এই ছোট শিশুটির জীবন
এই ঘটনার সুনির্দিষ্ট হাসপাতালটি সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের মেডিক্যাল টিম দ্বারা যাচাই করা হয়েছে। চিকিৎসা বা সংশ্লিষ্ট খরচ সম্পর্কে কোন স্পষ্টীকরণের জন্য, প্রচারাভিযান সংগঠক বা মেডিকেল টিমের সাথে যোগাযোগ করুন।

সুদীপের মা- বাবা বুঝতেই পারেননি কি করে তাদের ছেলের ঘাড়ে একটা সামান্য ব্যাথা এমন প্রকট রূপ ধারণ করলো
“সুদীপ আর আমার ৭ বছর এর মেয়ে সুমিতা কে আলাদা করা যেত না। খালি স্কুল যাওয়ার সময়টা ছাড়া সুমিতা কখনো তার ভাই কে কাছছাড়া করতো না। সুদীপও ওর দিদি কে চোখে হারাতো। ওদেরকে নিয়ে আমাদের ছোট্ট সংসারটা সুন্দর ভাবে চলে যাচ্ছিলো, ঠিক তখনই বিনা মেঘে বজ্রপাত হলো - জানতে পারলাম সুদীপ এর ব্রেন টিউমার এর ব্যাপারে। ডাক্তার বাবুর মুখে যখন প্রথম শুনলাম এই খবরটা, মনে হলো যেন পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেলো - ব্রেন টিউমার এর কথা খালি সিনেমাতেই দেখেছি। এমনি কঠিন রোগ আমার ছেলের হবে এইটা স্বপ্নেও ভাবিনি,” - আরাধনা।
সুদীপের ঘাড়ের একটা ব্যাথাই এই কঠিন ব্যাধির সূত্রপাত। সুনীল আর আরাধনা কলকাতা থেকে চেন্নাই আসেন শুধুমাত্র তাদের সন্তান এর চিকিৎসার জন্য। সেখানেই তারা জানতে পারেন যে তাদের ছেলের প্লিওমরফিক স্যান্থো অ্যাস্ট্রো সিটোমা নামক একটি ভয়াবহ ব্রেন টিউমার আছে। সত্বর চিকিৎসা ছাড়া সুদীপকে বাঁচানো কোনমতে সম্ভব নয়।

এই টিউমারের ব্যাথার জন্যই সুদীপের বাঁ হাত পা প্রায় অবশ হয়ে গেছে
ডাক্তাররা অপারেশন করে সুদীপ এর ৯০% টিউমার বের করতে পেরেছেন। কিন্তু এখনো ছোট্ট সুদীপ বিপদমুক্ত নয়। তার বাঁ দিকের হাত আর পা ব্যাথায় অচল। তার হাসপাতালে থাকা এখনো ভীষণ প্রয়োজন - কেমোথেরাপির পাশাপাশি আরও কিছু ওষুধ পত্র ও রেডিয়েশন র দরকার আছে সুদীপ-এর।“সুদীপ ছোট বেলা থেকেই ভীষণ হাসি খুশি ছিল। সব সময় কিছু না কিছু দুষ্টুমি করতেই থাকতো আর আমাকে ওর পেছন পেছন ঘুরতে হতো। এই শরীর খারাপ এর পর থেকে যেন বিছানার সাথে মিলিয়ে গেছে আমার ছেলেটা। ও কিছুই মুখেই দেয় না আজকাল - অনেক কষ্টে ওকে কখনো ফল এর রস আর হরলিক্স খাওয়াই। এই কয়েক দিন ধরে ওর ভীষণ জ্বর আর সর্দি-কাশী হয়েছে। ওর অবস্থা দেখে আমার চোখে জলে ভরে যায় , শুধু এটাই ভাবি যদি কোনো মন্ত্রবলে যদি ওকে সারিয়ে তুলতে পারি,” - আরাধনা।

দিন মজুরের বেতনে সুনীলের পক্ষে সম্ভব নয় তার ছেলের চিকিৎসার ব্যাবস্থা করা
সুদীপের বাবা সুনীল, দিন মজুরি করে এবং মাস গেলে সে শুধুমাত্র ৪০০-৫০০ টাকা পায়। তাতেই তাদের সংসার চলছিল টানাপড়েন এর মধ্যে। সুনীল এর বয়ষ্ক মা ও থাকেন তাদের সাথে। তার কাছেই আরাধনা আর সুনীল, তাদের মেয়েকে রেখে এসেছেন চেন্নাই।“আমার জমানো সব পুঁজি শেষ হয়ে গেছে সুদীপ এর চিকিৎসাতে। আত্মীয়-পরিজন দের কাছে ধার নিয়ে কিছু টাকা জোগাড় হয়েছে। কিন্তু আধপেট থেকেও আর হাসপাতাল এর মেঝে তে রাত কাটিয়েও আমার পক্ষে ৫ লক্ষ টাকা জোগাড় করা সম্ভব নয়। চোখের সামনে নিজের ছেলেকে এভাবে কষ্ট পেতে দেখে বাবা হিসেবে নিজেকে ব্যর্থ মনে হয়। আমি আমার সুদীপকে হারাতে চাই না কিন্তু আমার কাছে সেই সম্বল নেই যে তার ঠিক মতন চিকিৎসা করাতে পারি। অন্য দিকে সুমিতা ওর ঠাকুমার কাছে আছে, আমাদের আরেকটা ফোন ও নেই যে তার সাথে রোজ কথা বলবো। যখনই কথা হয়, ও মা আর ভাই এর খোঁজ করে - আমার দুই সন্তানের কান্না শুনে আমার বুকটা ফেটে যায়,” - সুনীল।

আপনি কি ভাবে সাহায্য করতে পারেন
ব্রেন টিউমার এর জন্য ব্যাথায় জর্জরিত ছোট্ট সুদীপ কে বাঁচানোর এক মাত্র উপায় কেমোথেরাপি, রেডিয়েশন ও নিয়মিত ওষুধ পত্র। তার অত্যন্ত গরীব বাবা- মা এই ব্যয়বহুল চিকিৎসার খরচ ওঠাতে অক্ষম। শুধু মাত্র আপনার সাহায্যই ফিরিয়ে দিতে পারে সুনীল আর আরাধনাকে তাদের সন্তান।আপনার সাহায্য বাঁচাতে পারে এই ছোট শিশুটির জীবন
সাপোর্টিং ডকুমেন্ট
