নিজের জমি বিক্রি করার পরও, এই কৃষকটি তাঁর 2 বছরের মেয়েকে | Milaap
loans added to your basket
Total : 0
Pay Now

নিজের জমি বিক্রি করার পরও, এই কৃষকটি তাঁর 2 বছরের মেয়েকে ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা করতে পারছেন না

“আমি যখন আরাধ্যার মুখের দিকে তাকাই, তখন কল্পনাও করতে পারি না যে এই দুই মাস আগে সবকিছুই ঠিক ছিল এবং এখন তার ক্যান্সারের মত মারাত্মক রোগ হয়েছে। সে খুব দুর্বল আর  সবসময়ই কাঁদছে, আমার প্রানবন্ত ছোট বাচ্চাটি আর আগের মত নেই। সে হাসপাতালকে খুব ভয় পায় এবং আমাদের একদমই তার কাছ ছাড়া হতে দেয় না। সে ব্যথার কারনে রাতের পর রাত ঘুমাতে পারে না। আমার এই চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য নেই, আমি জানি না তাকে বাঁচাবার জন্য আমি কি করব,” - 2 বছরের আরাধ্যার বাবা উৎপল।  



 ছোট্ট আরাধ্যা একধরণের বিরল হাড়ের ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করছে এবং একটি অত্যন্ত জরুরি সার্জারির এবং কেমোথেরাপি- ই হল তার বেঁচে থাকার একমাত্র পথ। কিন্তু তার পরিবার এতটাই গরীব যে তাদের ছোট্ট মেয়েটিকে বাঁচাবার জন্য এই সার্জারি করানোর সামর্থ্য নেই।

মেয়েটির বাবা-মা এটা জানতে পেরে বিস্মিত হয়ে গেছিল যে তাদের মেয়ের একটি বিরল ধরণের হাড়ের ক্যান্সার হয়েছে।

 
আরাধ্যার সবকিছু ঠিকই চলছিল, কিন্তু যখন তার ডান কাঁধের একটি সাধারন ফোলা অংশ ক্রমাগত বাড়তে শুরু করে,তখন তার বাবা-মা ভয় পেয়ে যান। আরাধ্যার বাবা উৎপল এবং মা জয়ন্তী তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কিছু প্রাথমিক টেস্টের পর তাদের বলা হয় যে, তাদের ছোট্ট মেয়েটির এউইং সার্কোমা নামক একধরনের বিরল প্রকৃতির হাড়ের ক্যান্সার ধরা পড়েছে। এটি একটি ক্ষয়জনক টিউমার যা সাধারণত লম্বা হাড় যেমন ঊরুর হাড়, পায়ের নলির হাড় এবং হাতের উপরিভাগের হাড়কে আক্রমন করে। এটি একটি আক্রমনাত্মক ধরণের ক্যান্সার, যা ধীরে ধীরে শরীরের অন্যান্য অঙ্গ যেমন- ফুসফুস, হাড়ের মজ্জা এবং অন্যান্য নরম টিস্যুতে ছড়িয়ে পড়ে।

ছোট্ট আরাধ্যা যখন সে সুস্থ এবং ভাল ছিল

 
“ ‘ ক্যান্সার ‘ শব্দটা শোনামাত্র আমাদের  মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছিল। আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না, আমার মেয়ে, যে কিছুদিন আগে পর্যন্ত পুরোপুরি সুস্থ এবং হাসিখুশি ছিল, সার্জারি না করলে সে আর আমাদের মধ্যে থাকবে না।  জয়ন্তী অনবরত কান্নাকাটি করছিল এবং আমার কাছে তাকে স্বান্তনা দেবার কোনো উপায় ছিল না,”- উৎপল বলেছেন।

 কেমোথেরাপি আরাধ্যাকে খুব দুর্বল করে দিয়েছে এবং সে কোনো কিছুই খেতে পারছে না।

 
আরাধ্যার ক্যান্সার ধরা পড়ার কিছুদিন পর থেকেই তার কেমোথেরাপি চলছে। কেমোথেরাপি এই 2 বছরের শিশুটির স্বাস্থ্য কেড়ে নিয়েছে। সে কিছুই খেতে পারছে না, যা খাচ্ছে তা সব বমি করে ফেলছে এবং সবসময় ব্যথায় কান্নাকাটি করছে।
 
“ আরাধ্যাকে এত বেশি কষ্ট পেতে দেখে চোখে জল চলে আসছে । সে মাত্র 2 বছরের এবং এসময় যখন তার খেলাধূলা করা উচিত, তখন সে এমন যন্ত্রণাদায়ক চিকিৎসার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আমার খালি মনে হয় যদি আমি তাকে একটু ভাল রাখার জন্য অল্প হলেও কিছু করতে পারতাম,”- জয়ন্তী।

গরীব বাবা নিজের মেয়ের চিকিৎসার জন্য তাঁর জমি বিক্রি করে দিয়েছে, কিন্তু তা সত্বেও  সার্জারির জন্য পর্যাপ্ত টাকার জোগাড় হয়নি। 


উৎপল একজন সামান্য চাষী , তিনি তাঁর জমিতে কাজ করেন এবং দুবেলার খাবার জোগাড় করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেন। যখন আরাধ্যার ক্যান্সার ধরা পড়েছিল, তখন মেয়ের প্রাথমিক চিকিৎসার টাকা জোগাড় করার জন্য দ্বিতীয় কোনো চিন্তা না করে তিনি তাঁর জমি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু সার্জারি করার জন্য ওনার 7 লাখ টাকা লাগবে এবং এমন কোনো উপায় নেই যার মাধ্যমে তিনি এতগুলো টাকা জোগাড় করতে পারেন।
 
“ডাক্তাররা  এখন আমাদের বলেছেন যে আমার মেয়েকে বাঁচাবার  একমাত্র উপায় হল একটি জরুরি সার্জারি করা। আমি একজন গরীব কৃষক এবং আমি জানি না কিভাবে আমি এতগুলো টাকা জোগাড় করব - এই পরিমাণ টাকা আমি আমার জীবনে কোনদিন দেখিনি,”- উৎপল।

আপনি কিভাবে সাহায্য করতে পারবেন


2 বছর বয়সী আরাধ্যার একটি অত্যন্ত বিরল ধরণের হাড়ের ক্যান্সার ধরা পড়েছে, যে রোগে ভারতের পাঁচ হাজারেরও কম শিশু আক্রান্ত হয়।  এক মাসের মধ্যে তাকে অত্যন্ত জরুরি কেমোথেরাপি দেওয়া দরকার। বর্তমানে সে খুব কষ্টে আছে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা না করা হলে তার ডান কাঁধের ক্ষয়জনক টিউমারটি খুব তাড়াতাড়ি তার শরীরের অন্যান্য অঙ্গে ছড়িয়ে পড়বে। তার বাবা একজন গরীব কৃষক এবং তিনি নিজের মেয়ের সার্জারির জন্য এই বিপুল পরিমাণ টাকার জোগাড় করার মত অবস্থায় নেই। আপনার সদয় অবদান উৎপল এবং জয়ন্তীকে তাঁদের ছোট্ট আরাধ্যার জীবন বাঁচাতে সাহায্য করবে এবং এই ছোট্ট শিশুটিকে একটি সুস্থ ভবিষ্যৎ দেবে।


আপনাদের সহযোগিতা আরাধ্যাকে বাঁচাতে পারবে।

Supporting Documents




  The specifics of this case have been verified by the medical team at the concerned hospital. For any clarification on the treatment or associated costs, contact the campaign organizer or the medical team.

Click here to save Aaradhya